অর্থ: আপনি ধনীদের থেকে সাদকা উসুল করুন। এর দ্বারা তাদেরকে পবিত্র ও আত্মশুদ্ধি করুন এবং আপনি তাদের জন্য দুআ করুন ।
( সুরা তাওবা: ১০৩
৪৭২, হজরত আবদুল্লাহ বিন আবু আউফা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যখন কোনো গোত্র তাদের জাকাত নিয়ে আসত, বলতেন, হে আল্লাহ! তাদের ওপর রহমত নাজিল করুন। একদিন আবু আউফা সাদকা নিয়ে এলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আল্লাহ! আপনি আবু আউফার পরিবারের ওপর রহমত বর্ষণ করুন। ইমাম শাফেয়ি রহ বলেন, জাকাত উসুলকারী জাকাত প্রদানকারীর জন্য জন্য এ দুআ করবে-
أَجْرَكَ اللهُ فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَجَعَلَهُ لَكَ طَهُورًا، وَبَارَكَ لَكَ فِيمَا أَبْقَيْتَ .
জাকাত উসুলকারীর জন্য এই দুআ পড়া মুসতাহাব; ওয়াজিব নয়।
উলামায়ে কেরাম বলেন, দুআয় 'আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা ফুলান: হে আল্লাহ! অমুকের ওপর রহমত বর্ষণ করুন' এমন বলা মুসতাহাব নয়। আর 'ওয়া সাল্লি আলাইহিম' অর্থাৎ তাদের জন্য দুআ করুন। আর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: 'আল্লাহুম্মা সাল্লি আলাইহিম' (হে আল্লাহ! তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করুন) - এটি এজন্য যে, 'সালাত' শব্দটি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বিশেষিত। তাই তিনি যাকে ইচ্ছা এর দ্বারা দুআ করতে পারেন; কিন্তু আমরা তা পারি না। এ সংক্রান্ত আরো আলোচনা আগে করা হয়েছে।
জাকাতের নিয়ত করা ওয়াজিব
অন্যান্য ইবাদতের মতো জাকাতের নিয়তও মনে মনে করলেই চলবে। তবে মুখে বলা মুসতাহাব, যেমন অন্য ইবাদতে মুখে বলা মুসতাহাব। যদি কেবলমাত্র মুখে বলে, অন্তরে নিয়ত না থাকে, তাহলে জাকাত আদায় হবে কিনা? এ ব্যাপারে মতানৈক্য আছে। বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী আদায় হবে না। জাকাত প্রদানকারী নিয়ত করার পর আবার জাকাত দেওয়ার সময় বলতে হবে না যে, এটি জাকাত। বরং যাকাত গ্রহণের যোগ্য ব্যক্তির কাছে তা দিলেই আদায় হয়ে যাবে। যদি মুখে বলে তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
আর যে ব্যক্তি জাকাত, মানত, কাফ্ফারা ও দান-সাদকা ইত্যাদি প্রদান করবে সে এ দুআটি পড়বে-
বাংলা অর্থ ও অনুবাদ সহ কুরআন পরুন | সহিহ নামাজ শিক্ষা চিত্রসহ |
হযরত আবু বকর (রাঃ) এর জীবনী ও তার পরিচয়। | নামাজ শিক্ষা নামাজের নিয়ম কারণ |