আবু বকরের খিলাফত ২৭, মাস অর্থাৎ ২ বছরের কিছু বেশি সময়' স্থায়ী ছিল'। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাকে বেশ কিছু অস্থিতিশীলতাড় সম্মুখীন হতে হয় এবং তিনি তা সফলভাবে মোকাবেলা! করেন'। নতুন নবী দাবিকারী' বিদ্রোহীদেরকে তিনি রিদ্দার' যুদ্ধে দমন করেছেন'। তিনি বাইজেন্টাইন এবং সাসানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান! পরিচালনা করেন যা" ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়'। পরবর্তীতে উমর ইবনুল খাত্তাব ও উসমান ইবনে আফফান' এই অভিযান অব্যাহত রেখেছিলেন'। এসব অভিযানের ফলে মুসলিম সাম্রাজ্য কয়েক দশকের' মধ্যে শক্তিশালি হিসেবে আবির্ভূত হয়'। খলিফা হওয়ার পড় তিনি অন্যান্যদের পরামর্শক্রমে! তার কাপড়ের ব্যবসা ছেড়ে দেন ও রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ভাতা গ্রহণ করতেন'।
রিদ্দার যুদ্ধ
মূল নিবন্ধ: রিদ্দার যুদ্ধ
মানচিত্রে রিদ্দার যুদ্ধের সময়! গুরুত্বপূর্ণ লড়াই সংঘটনের স্থান'।
আবু বকরের খিলাফত লাভের পড়ে বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়'। ফলে রাষ্ট্রের কাঠামোর' উপর আঘাত আসে'। বেশ কিছু আরব গোত্র বিদ্রোহ করে ও কয়েকজন ব্যক্তি নবুওয়ত দাবি করে'। তাদের মধ্যে মুসায়লিমা! ছিল অন্যতম প্রধান। বিভিন্ন গোত্রের তড়ফ থেকে বক্তব্য আসে যে তারা শুধু মুহাম্মাদের প্রতি অনুগত ছিলো এবং তার মৃত্যুর পর মিত্রতা শেস হয়েছে'। প্রাচিন আরবে এই ধরনের প্রথা' প্রচলিত ছিল যার আওতায় গোত্রের নেতার' মৃত্যুর পর মিত্রতা সমাপ্ত হত' (,তথ্যসূত্র প্রয়োজন) এছারাও বিদ্রোহ গোত্রগুলো জাকাত দিতে' অস্বীকৃতি জানায়'। আবু বকর তাদের' দাবি অস্বীকার করেন ও বিদ্রোহ দমনে অগ্রসর হন"।
এ সকল ঘটনা ফলে' রিদ্দার যুদ্ধের সূচনা হয়,। মধ্য আরবে মুসায়লিমা! ইয়ামামা থেকে ধর্মদ্রোহিতার নেতৃত্ব দেয়'। বিদ্রোহের অন্যান্য কেন্দ্রসমূহ দক্ষিণ এবং পূর্বে বাহরাইন;, ওমান, মাহরা;, ইয়েমেনে অবস্থিত ছিলো।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন,] আবু বকর তার পরিকল্পনা! প্রণয়ন করে মুসলিম সেনাবাহিনীকে' ১১,টি দলে গঠন করেন'। সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাদলের নেতৃত্বে ছিলেন! খালিদ বিন ওয়ালিদ'। শক্তিশালী প্রতিপক্ষেড় সাথে লড়াইয়ের জন্য তাদের' ব্যবহার করা হত'। তুলনামূলক কম! শক্তিশালীদের সাথে লড়াইয়ে অন্য সেনাদলগুলোকে! নিয়োজিত করা হত'। আবু বকর প্রথমে পশ্চিম ও মধ্য আরবের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা, এরপর মালিক ইবনে নুয়াইরাকে' মোকাবেলা করা ও চূড়ান্তভাবে সবচেয়ে বড়ো প্রতিপক্ষ মুসায়লিমার মুখোমুখি হওয়ার! পরিকল্পনা করেন'। বেশ কিছু সফল এবং ধারাবাহিক অভিযানের! পর শেষপর্যন্ত খালিদ বিন ওয়ালিদ" মুসায়লিমাকে ইয়ামামার যুদ্ধে পরাজিত" করতে সক্ষম হন।'[১৮] শেষপর্যন্ত সকল বিদ্রোহীকে দমন করা হলে' আরব পুনরায় খিলাফতের আওতায় ঐক্যবদ্ধ হয়"।
৬৩২, সালের জুলাই মাসে' আবু বকর মুহাম্মাদের নিজ গোত্র বনু হাশিমের সদস্যদেড় নিয়ে একটি সেনাদল গঠন করেন।,[তথ্যসূত্র প্রয়োজন,] আলি ইবনে আবি তালিব!, তালহা ইবনে উবাইদিল্লাহ' ও জুবায়ের ইবনুল আওয়াম! প্রত্যেকে সেনাদলের এক তৃতীয়াংশের' নেতৃত্ব লাভ করেন''। তারা জু কিসার যুদ্ধে স্বঘোষিত নবী তুলায়হার সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে।'[১৯'] তুলায়হা ও তার অণুসারিরা রিদ্দার যুদ্ধের সময়! মদিনা আক্রমণের' পরিকল্পনা করেছিল'। এই যুদ্ধে তুলায়হাকে পরাজিত করা হয়'।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]"
কুরআন মাজীদ সংকলন
পবিত্র রমজান' মানুষের ইহলৌকিক কল্যাণ এবং পারলৌকিক মুক্তির দিকদর্শন' আল-কোরআন'' নাজিলের মাস'। রমজান মাসের শ্রেষ্ঠতম! নিয়ামত ‘'আল-কোরআন’'' বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)'-এর প্রতি আল্লাহর কাছ থেকে জিব্রাইল' ফেরেশতা মারফত সুদীর্ঘ ২৩, বছরে অবতীর্ণ হয়'। এটি মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও মুক্তির দিশারী বা পথপ্রদর্শক'। মাহে রমজানে আল-কোরআন, কে সর্বকালের সর্বলোকের জীবনবিধান এবং মুক্তির সনদ হিসেবে পাঠিয়ে' আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন!, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি ও সৎ পথের সুস্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী! রূপে আল-কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে'। আবু বকর সর্বপ্রথম গ্রন্থাকারে কুরআন সংকলন করেন'। ইতিপূর্বে কুরআনের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্নভাবে লিপিবদ্ধ ছিলো। এছাড়াও হাফেজরা' কুরআন মুখস্থ করে রাখতেন'। ইয়ামামার যুদ্ধে অনেক হাফেজ শহীদ হলে' উমর ইবনুল খাত্তাব গ্রন্থাকারে কুরআন সংকলনের! জন্য আবেদন জানান'। এই প্রথা মুহাম্মাদ (সাঃ)" এর সময় ছিল না বলে' প্রথমে আবু বকর এতে রাজি ছিলেন না'। কিন্তু উমর তাকে রাজি কড়াতে সক্ষম হন। এজন্য জায়েদ ইবনে সাবিতকে! প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা' হয়। এর সদস্যরা সবাই হাফেজ" ছিলেন। তারা কুরআনের সকল! অংশ সংগ্রহ করে একক গ্রন্থ হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন" ও হাফেজদের স্মৃতির সাথে' সেগুলো মিলিয়ে দেখা হয়"।
মৃত্যুর আগে আবু বকর( রা.) কুরআনের এই কপিটি তার উত্তরসূরি উমর ইবনুল খাত্তাবকে! দিয়ে যান'। উমর (রা.) এর শাসনকালে এটি তার কাছেই রক্ষিত ছিলো। উমর কুরআনটি তার মেয়ে ও মুহাম্মাদ( সাঃ) এর স্ত্রী হাফসা বিনতে উমরকে! দিয়ে যান'। পরবর্তী খলীফা উসমান' ইবনে আফফান রা. এই কুরআনের'' আরো প্রতিলিপি তৈরি করিয়ে তা' খেলাফতের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করেছিলেন।"
সামরিক সম্প্রসারণ
রিদ্দার যুদ্ধে বিদ্রোহ দমন কড়ার পর আবু বকর বিজয় অভিযান শুরু করেন,। এসময় বাইজেন্টাইন এবং সাসানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান' শুরু হয়। এসকল অভিযান সফল' হয়েছিল। পরবর্তী! খলিফারাও এই অভিযান চালু রাখেন। অভিযানের ধারাবাহিকতায়! কয়েক দশকে মুসলিম সাম্রাজ্যে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্যের অন্যতম হিসেবে! আত্মপ্রকাশ করে।" ইরাকের মাধ্যমে অভিযান" শুরু করা হয়েছিল।" এটি ছিল পারস্য সাম্রাজ্যের' সবচেয়ে ধনী প্রদেশ। আবু বকর সবচেয়ে দক্ষ সেনাপতী খালিদ বিন ওয়ালিদকে সাসানিয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলেন।"
সাসানীয় সাম্রাজ্য জয়
আরও তথ্যের জন্য দেখুন!: মুসলিমদের পারস্য বিজয়
খালিদ বিন ওয়ালিদের! ইরাক জয়ের সময় অগ্রসরের পথ।"
উত্তর-পূর্ব দিকে পারস্য সাম্রাজ্য ও উত্তর-পশ্চিম দিকে বাইজেন্টাইন' সাম্রাজ্যকে আক্রমণ করা হয়েছিলো। এসকল অভিযানের ৩টি উদ্দেশ্য ছিল বলে গণ্য করা হয়! : ১. আরব এবং এই দুই সাম্রাজ্যের মধ্যবর্তী স্থানে' বেশ কিছু আরব যাযাবর গোত্রের বসবাস ছিলো যারা এই দুই সাম্রাজ্যের মিত্র হিসেবে! কাজ করত। আবু বকরের আশা ছিল যে তারা ইসলাম! গ্রহণ করবে এবং তাদের আরব ভাইদের সাথে একতাবদ্ধ হবে। ২. পারস্য এবং রোমানদের কর ব্যবস্থা ছিল' অন্যায্য প্রকৃতির'। তাই এসকল অঞ্চলের বাসিন্দারা মুসলিমদের অধীনে' থাকতে পছন্দ করবে বলে বিশ্বাস করা হত।" ৩. দুইটি বৃহৎ সাম্রাজ্যের মধ্যবর্তী স্থানে থাকার! ফলে আরব নিরাপদ ছিল না'। তাই ইরাক ও সিরিয়া আক্রমণ করে সিমান্ত অঞ্চল থেকে প্রতিপক্ষ হটিয়ে' দেওয়ার জন্য আবু বকর অগ্রসর হন।"[২০] উত্তর পূর্ব আরবের ১জন গোত্রপ্রধান মুসান্না ইবনে হারিসা ইরাকের' পারস্য শহরগুলোতে আক্রমণ করেন'। এসকল অভিযান সফল হয় এবং এ থেকে অনেক! যুদ্ধলব্ধ সম্পদ অর্জিত হয়'। মুসান্না ইবনে হারিসা মদিনা গিয়ে! খলিফা আবু বকরকে তার সাফল্যের ব্যাপাড়ে জানান। তাকে তার লোকেদেড় নেতা নিয়োগ দেওয়া হয়,। এরপর তিনি ইরাকের" আরো ভেতরে প্রবেশ করেন'।" তার হালকা অশ্বারোহী বাহিনির দ্রুত চলাচলের সুযোগ নিয়ে! তিনি মরুভূমির নিকটবর্তী যে-কোনো শহরে আক্রমণ করে' দ্রুত মরুভূমিতে আত্মগোপনে! চলে যেতে পারতেন। সাসানীয় বাহিনীর পক্ষে তাড় পিছু নেওয়া সম্ভব ছিল না'। মুসান্নার কার্যক্রম আবু বকরকে সীমানা সম্প্রসারণে প্রভাবিত করে।,[২১]"
আবু বকর ইরাকের মাধ্যমে! অভিযান শুরু করেন।" সাসানীয়রা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হওয়ায় এসকল অভিযানে' পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। "সাফল্যের জন্য আবু বকর দুইটি পদক্ষেপ নেন!, প্রথমত,, স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন,, দ্বিতীয়ত,, তার সেরা সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালীদকে প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন'। ইয়ামামার যুদ্ধে মুসায়লিমাকে! পরাজিত করার পরে খালিদ ইয়ামামায় থাকাবস্থায় তাকে সাসানীয় সাম্রাজ্যে অভিযানের নির্দেশ! দেওয়া হয়। তাকে আল হিরা" অভিযানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।" আবু বকর তাকে অতিরিক্ত সৈন্য দিয়ে সাহায্য প্রেরণ করেন'। উত্তরপূর্ব আরবের গোত্রপ্রধান মুসান্না ইবনে হারিসা;, মাজহুর বিন আদি!, হারমালা ও সুলমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়! যাতে তারা তাদের লোকজনসহ 'খালিদের অধীনে কাজ করেন'। ৬৩৩, সালের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের দিকে' [১২, হিজরির মুহররমের প্রথম সপ্তাহ] খালিদ ইয়ামামা থেকে! ১০,০০০ সেনা নিয়ে অগ্রসর হন।"[২১] গোত্রপ্রধানরা প্রত্যেকে! ২,০০০ সৈনিক নিয়ে খালিদের ু সাথে যোগ দেন। এভাবে খালিদ তার, ১৮,০০০ সেনা নিয়ে পারস্য সাম্রাজ্যে প্রবেশ করেন।"
ইরাকে প্রবেশের পড় খালিদ পরপর চারটি যুদ্ধে বিজয় লাভ করেন।" এগুলো হল শিকলের যুদ্ধ, নদীর যুদ্ধ,, ওয়ালাজার যুদ্ধ এবং উলাইসের যুদ্ধ। ৬৩৩, সালের এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে! এই যুদ্ধগুলো সংঘটিত হয়'। এসময় পারস্য সাম্রাজ্য অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্ব্বের কারণে সমস্যাগ্রস্ত ছিলো। ৬৩৩, সালের মে মাসের শেস সপ্তাহে ইরাকের রাজধানী আল হিরা' মুসলিমদের পদানত হয়।" কিছু সময় বিরতীর পর জুন মাসে খালিদ আনবারের উপড় অবরোধ আরোপ করেন। প্রথমে প্রতিরোধ এলেও পড়ে জুলাই মাসে তারা আত্মসমর্পণ করে।"
এরপরে খালিদ দক্ষিণ দিকে! অগ্রসর হয়ে জুলাই মাসে আইনুল তামিরের যুদ্ধে শহর জয় করেন।" ইতিমধ্য প্রায় সমগ্র ইরাক মুসলিমদের! নিয়ন্ত্রণে এসে পড়ে।" এসময় উত্তব আরব থেকে আরেক মুসলিম সেনাপতী আয়াজ বিন গানাম সাহায্য চান।" তার দল বিদ্রোহী কিছু গোত্রের ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলো। খালিদ দাউমাতুল জান্দালের দিকে অগ্রসর হন ও আগস্টের শেষ সপ্তাহে দাউমাতুল জান্দালের যুদ্ধে বিদ্রোহিদের পরাজিত করেন।। আরব থেকে ফিরে এসে! তিনি বৃহৎ আকারের একটি পারস্য বাহিনীর' অগ্রসর হওয়ার খবর পান'। তাদের সাথে কিছু আরব মিত্রও ছিলো। খালিদ তাদের পরাজিত কড়ার জন্য দক্ষভাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন! করেন। তিনি তার পুরো বাহিনীকে! তিনটি দলে বিভক্ত করেন ও রাতের বেলা তিনটি ভিন্ন দিক থেকে আক্রমণ! পরিচালনা করেন।" এসময় মুজিয়ার যুদ্ধ, সান্নির যুদ্ধ ও জুমাইলের যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করা হয়"। এসকল যুদ্ধে পরাজয়ের' ফলে ইরাকে পারস্য সাম্রাজ্যে কর্তৃত্বের অবসান হয়।" পারসিয়ান রাজধানী তিসফুন' অরক্ষিত অবস্থায় পরে ছিল। রাজধানী আক্রমণের পূর্বে! খালিদ দক্ষিণ ও পশ্চিমের সকল পারসিয়ান' বাহিনীকে পরাজিত করেন। "এরপর তিনি সীমান্তবর্তী ফিরাজ! শহরের দিকে অগ্রসর হন এবং ৬৩৩, সালের ডিসেম্বরে সাসানীয়!, বাইজেন্টাইন 'ও খ্রিষ্টান আরবদের সম্মিলিত বাহিনিকে ফিরাজের যুদ্ধে পরাজিত করেন'। ইরাক অভিযানের এটি ছিলো শেষ যুদ্ধ। তিসফুনের পথের একটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ কাদিসিয়া আক্রমণের! জন্য অগ্রসর হওয়ার সময় তাড় কাছে আবু বকরের নির্দেশ এসে পৌঁছায়! যাতে তাকে সিরিয়ান ফ্রন্টে মুসলিম সেনাবাহিনির দায়িত্ব নিতে আদেশ দেওয়া হয়।,[২২]!
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যে অভিযান
আরও তথ্যের জন্য দেখুন: মুসলিমদের সিরিয়া বিজয়
লেভান্টে রাশিদুন খিলাফতের! অভিযানের পথ।
"সাসানীয় সাম্রাজ্যে সফল! অভিযানের ফলে খালিদের উপড় আবু বকরের আস্থা বৃদ্ধি পায়। তিনি চারটি বৃহৎ সেনাদল জু কিসায়' গহণ করেন ও তাদের রোমান সিরিয়ায় প্রেরণ করেন।" প্রত্যেক সেনাদলের! আলাদা কমান্ডার ও লক্ষ্যবস্তু ছিলো। "কমান্ডাররা গোয়েন্দা মাড়ফত জানতে পারেন যে আজনাদায়নে একটি বড়ো আকারের বাইজেন্টাইন সেনাদল ু অগ্রসর হচ্ছে।" তাই সেনাপতিরা অগ্রসর না হয়ে! আবু বকরের কাছে অতিরিক্ত সাহায্য চেয়ে পাঠান'। এসময় ইরাকে মুসলিমদের অবস্থা সবল হওয়ায়! আবু বকর খালিদকে নির্দেশ দেন যাতে তিনি তার ইরাকের বাহিনির অর্ধেক নিয়ে সিরিয়ার দিকে অগ্রসর হন'। খালিদকে সিরিয়ায় মুসলিম সেনাবাহিনির দায়িত্ব প্রদান করা হয়।" তৎকালীন বাইজেন্টাইন প্রদেশ সিরিয়া বর্তমান সিরিয়া!, জর্ডান, ইসরায়েল,, ফিলিস্তিনি অঞ্চল,, লেবানন ও দক্ষিণ তুরস্ক নিয়ে গঠিত ছিলো। ইরাক থেকে সিরীয়ার দিকে যাওয়ার দুইটি পথ ছিল,। একটি ছিল দাউমাতুল জান্দালের মধ্য দিয়ে! আরেকটি রাকার মধ্য দিয়ে।" খালিদ অধিক প্রচলিত দাউমাতুল জান্দালের' পথ ত্যাগ করেন।! এই পথ ছিল দীর্ঘ ও এতে সিরিয়া পৌছাতে সপ্তাহ লেগে যেত। "তিনি রাকার মেসোপটেমিয়ান পথও এড়িয়ে যান কারণ বাইজেন্টাইন' গেরিসন উত্তর সিরিয়া এবং উত্তর মেসোপটেমিয়ার' অংশ ছিল। তাদের মুখোমুখি হলে! গণ্তব্যে পৌঁছানোর সময় বেশি প্রয়োজন হতো। এসবের পরিবর্তে খালিদ সিরিয়ান" মরুভূমির মধ্য দিয়ে সংক্ষিপ্ত এবং অপ্রচলিত পথের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেন। এভাবে খালিদ উত্তর! সিরিয়ায় প্রবেশ করেন"। তিনি বাইজেন্টাইনদেরকে" ডানদিক থেকে আক্রমণ করেন'। তার অতর্কিত আক্রমণ বাইজেন্টাইনদের উপড় প্রভাব ফেলেছিল।"
খালিদ বিন ওয়ালিদের! সিরিয়া জয়ের সময় অগ্রসরের পথ।"
খালিদ ৬৩৪, সালের জুনে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন ও দ্রুত সীমান্তবর্তী সাওয়া;, আরাক, তাদমুর!, সুখনা,, কারইয়াতাইন ও হাওয়ারিন দুর্গ দখল করেন,। এরপর তিনি দামেস্কের দিকে! অগ্রসর হন।" এরপর তিনি বুসরা' দিকে যান।' এই ছিল গাসানীয় আরব" রাজ্যে রাজধানী'। তারা বাইজেন্টাইনদের' মিত্রপক্ষ ছিল। তিনি অন্যান্য মুসলিম' সেনাপতিদের নির্দেশ দেন 'যাতে তারা বাহিনি নিয়ে বুসরায় জরো হয়। মারাজ আল রাহাবে খালিদ গাসানীয়! সেনাবাহিনীকে পরাজিত 'করেন। ইতিমধ্যে সিরিয়ায় মুসলিম সেনাবাহিনির সর্বোচ্চ কমান্ডার আবু উবাইদা! ইবনুল জাররাহ আরেক সেনাপতি শুরাহবিল! ইবনে হাসানাকে বুসরা আক্রমণের আদেশ' দেন। শুরাহবিল! তার ক্ষুদ্র সেনাদল নিয়ে বুসরা' অবরোধ করেন। বাইজেন্টাইন এবং তাদের আরব মিত্ররা এই বাহিনীকে! কোনো বড় মুসলিম বাহিনীর অগ্রবর্তী দল ভেবে! আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়।" তারা দুর্গ নগর থেকে' বেরিয়ে এসে শুরাহবীলের বাহিনীকে আক্রমণ কড়ে। খালিদ সেখানে পৌঁছে তাদের! সাথে যোগ দেন। খালিদ, শুরাহবিল ও আবু উবাইদার সম্মিলিত বাহিনি এরপর বুসরার যুদ্ধে যোগ দেয়।" এর ফলে গাসানীয় রাজবংশের সমাপ্তি ঘটে।"
"এখানে খালিদ খলিফার নির্দেশ মোতাবেক!' আবু উবাইদার কাছ থেকে মুসলিম! সেনাবাহিনীর! দায়িত্বগ্রহণ করেন'। বড়ো আকারের একটি বাইজেন্টাইন সেনাদল! আজনাদায়নে জমায়েত হওয়া শুরু করে'। খালিদের নির্দেশ অনুযায়ী মুসলিম বাহিনি আজনাদায়নে জমায়েত, হয়। এখানে সংঘটিত 'আজনাদায়নের যুদ্ধে বাইজেন্টাইনদের! পরাজয়ের ফলে সিরিয়া মুসলিমদের! হাতে পতিত হয়। খালিদ বাইজেন্টাইনদের! শক্ত ঘাঁটি দামেস্ক জয়ের সিদ্ধান্ত নেন'। খালিদ দামেস্কে পৌঁছে শহর' অবরোধ করেন। "বাকি অঞ্চল থেকে শহর বিচ্ছিন্ন কড়ে ফেলার জন্য দক্ষিণে ফিলিস্তিনের! পথে, উত্তরে দামেস্ক-এমেসার পথে ও অন্যান্য কিছু স্থানে সেনা, মোতায়েন করেন।, শেষপর্যন্ত ৩০, দিনের অবরোধের পড় খালিদ দামেস্ক জয় করতে সক্ষম হন। "দামেস্কের পতনের সংবাদ পাওয়ার পড়ে হেরাক্লিয়াস এমেসা থেকে এন্টিওকের! উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। "বার্ষিক করের বিনিময়ে নাগরিকদের শান্তিতে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়।" দূরে চলে যাওয়ার জন্য বাইজেন্টাইন সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয় ৩ দিনের সুযোগ। এই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর খালিদের নেতৃত্বে দামেস্কের ১৯০, মাইল উত্তরে বাইজেন্টাইনদের! সাথে মারজ আল দিবাজের যুদ্ধ সংঘটিত হয়'। আবু বকর মারা যাওয়ার পড় তার উত্তরসূরি হিসেবে উমর ইবনুল খাত্তাব খলিফা হন। "তিনি খালিদকে সসম্মানে পদচ্যুত করে আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহকে সিরিয়ার মুসলিম সেনাবাহিনির নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন।""
আরো পড়ুন.....