Quraan Shareef
78) সূরা আন-নাবা - Surah An-Nabaa! মক্কায় অবতীর্ণ - Ayah 40
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম!
অর্থ: (শুরু করছি আল্লাহর নামে') যিনি পরম করুণাময়!, অতি দয়ালু
عَمَّ یَتَسَآءَلُوْنَۚ(1.)
الَّذِیْ هُمْ فِیْهِ مُخْتَلِفُوْنَؕ(3.)
كَلَّا سَیَعْلَمُوْنَۙ(4.)
অর্থ: না, সত্ত্বরই তারা জানতে পারবে,
ثُمَّ كَلَّا سَیَعْلَمُوْنَ(5.)
অর্থ: অতঃপর না, সত্বর তারা জানতে পারবে।
اَلَمْ نَجْعَلِ الْاَرْضَ مِهٰدًاۙ(6.)
অর্থ: আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা
وَّ الْجِبَالَ اَوْتَادًاﭪ(7.)
অর্থ: এবং পর্বতমালাকে পেরেক?
وَّ خَلَقْنٰكُمْ اَزْوَاجًاۙ(8.)
অর্থ: আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি,
وَّ جَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًاۙ(9.)
অর্থ: তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী,
وَّ جَعَلْنَا الَّیْلَ لِبَاسًاۙ(10.)
অর্থ: রাত্রিকে করেছি আবরণ।
وَّ جَعَلْنَا النَّهَارَ مَعَاشًا۪(11.)
অর্থ: দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়,
وَّ بَنَیْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًاۙ(12.)
অর্থ: নির্মান করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ।
وَّ جَعَلْنَا سِرَاجًا وَّهَّاجًاﭪ(13.)
অর্থ: এবং একটি উজ্জ্বল প্রদীপ সৃষ্টি করেছি।
وَّ اَنْزَلْنَا مِنَ الْمُعْصِرٰتِ مَآءً ثَجَّاجًاۙ(14.)
অর্থ: আমি জলধর মেঘমালা! থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি,,
لِّنُخْرِ جَ بِهٖ حَبًّا وَّ نَبَاتًاۙ(15.)
অর্থ: যাতে তদ্দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ।
وَّ جَنّٰتٍ اَلْفَافًاؕ(16.)
অর্থ: ও পাতাঘন উদ্যান।
اِنَّ یَوْمَ الْفَصْلِ كَانَ مِیْقَاتًاۙ(17.)
অর্থ: নিশ্চয় বিচার দিবস নির্ধারিত রয়েছে।
یَّوْمَ یُنْفَخُ فِی الصُّوْرِ فَتَاْتُوْنَ اَفْوَاجًاۙ(18.)
অর্থ: যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তোমরা দলে দলে সমাগত হবে।
وَّ فُتِحَتِ السَّمَآءُ فَكَانَتْ اَبْوَابًاۙ(19.)
অর্থ: আকাশ বিদীর্ণ হয়ে!; তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে।,
وَّ سُیِّرَتِ الْجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًاؕ(20.)
অর্থ: এবং পর্বতমালা চালিত হয়ে মরীচিকা হয়ে যাবে।
اِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًاﭪ(21.)
অর্থ: নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে,
لِّلطَّاغِیْنَ مَاٰبًاۙ(22.)
অর্থ: সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে।
لّٰبِثِیْنَ فِیْهَاۤ اَحْقَابًاۚ(23,)
উচ্চারণঃ লা-বিছীনা ফীহাআহকা-বা-।
অর্থ: তারা তথায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবস্থান করবে।
لَا یَذُوْقُوْنَ فِیْهَا بَرْدًا وَّ لَا شَرَابًاۙ(24.)
অর্থ: তথায় তারা কোন শিতল এবং পানীয় আস্বাদন করবে না;,
اِلَّا حَمِیْمًا وَّ غَسَّاقًاۙ(25.)
অর্থ: কিন্তু ফুটন্ত পানি ও পূঁজ পাবে।
جَزَآءً وِّفَاقًاؕ(26.)
অর্থ: পরিপূর্ণ প্রতিফল হিসেবে।
اِنَّهُمْ كَانُوْا لَا یَرْجُوْنَ حِسَابًاۙ(27.)
অর্থ: নিশ্চয় তারা হিসাব-নিকাশ আশা করত না।
وَّ كَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَا كِذَّابًاؕ(28.)
অর্থ: এবং আমার আয়াতসমূহে পুরোপুরি মিথ্যারোপ করত।
وَ كُلَّ شَیْءٍ اَحْصَیْنٰهُ كِتٰبًاۙ(29.)
অর্থ: আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিত করেছি।
উচ্চারণঃ ফাযূকূফালান নাঝীদাকুম ইল্লা-‘আযা-বা-।
অর্থ: ৩অতএব, তোমরা আস্বাদন কর, আমি কেবল তোমাদের শাস্তিই বৃদ্ধি করব।
اِنَّ لِلْمُتَّقِیْنَ مَفَازًاۙ(31.)
حَدَآىٕقَ وَ اَعْنَابًاۙ(32.)
উচ্চারণঃ হাদাইকা ওয়া আ‘না-বা-।
অর্থ: উদ্যান, আঙ্গুর,
وَّ كَوَاعِبَ اَتْرَابًاۙ(33.)
وَّ كَاْسًا دِهَاقًاؕ(34.)
لَا یَسْمَعُوْنَ فِیْهَا لَغْوًا وَّ لَا كِذّٰبًاۚ(35.)
جَزَآءً مِّنْ رَّبِّكَ عَطَآءً حِسَابًاۙ(36.)
رَّبِّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَا الرَّحْمٰنِ لَا یَمْلِكُوْنَ مِنْهُ خِطَابًاۚ(37.)
অর্থ: রাব্বিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামা-বাইনাহুমাররাহমা-নি লা-ইয়ামলিকূনা মিনহু খিতা-বা-।
উচ্চারণঃ ইয়াওমা ইয়াকূমুর রূহুওয়াল! মালাইকাতুসাফফাল! লা-ইয়াতাকাল্লামূনা ইল্লা-মান আযিনা লাহুর রাহমা-নুওয়া! কা-লা সাওয়া-বা-
অর্থ:যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্যকথা বলবে
ذٰلِكَ الْیَوْمُ الْحَقُّۚ-فَمَنْ-. شَآءَ اتَّخَذَ اِلٰى رَبِّهٖ مَاٰبًا,(39.)
অর্থ: আমি তোমাদেরকে আসন্ন! শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম!, যেদিন মানুষ প্রত্যেক্ষ করবে যা সে সামনে প্রেরণ করেছে এবং কাফের! বলবেঃ হায়!, আফসোস-আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।,,