Quraan Shareef
43) সূরা যুখরুফ - Surah Az-Zukhruf মক্কায় অবতীর্ণ - Ayah 89
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম!
অর্থ: (শুরু করছি আল্লাহর নামে') যিনি পরম করুণাময়!, অতি দয়ালু
অর্থ: হা-মীম।
وَ الْكِتٰبِ الْمُبِیْنِۙۛ(2.)
অর্থ: শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের,
اِنَّا جَعَلْنٰهُ قُرْءٰنًا عَرَبِیًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُوْنَۚ(3.)
উচ্চারণঃ ইন্না-জা‘আলনা-হু কুরআ-নান ‘আরাবিইইয়াল লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।
অর্থ: আমি একে করেছি কোরআন!, আরবী ভাষায়, যাতে তোমরা বুঝ,।
وَ اِنَّهٗ فِیْۤ اُمِّ الْكِتٰبِ لَدَیْنَا لَعَلِیٌّ حَكِیْمٌؕ(4)
উচ্চারণঃ ওয়া ইন্নাহূফীউম্মিল কিতা-বি লাদাইনা-লা‘আলিইয়ুন হাকীম।
অর্থ: নিশ্চয় এ কোরআন আমার কাছে সমুন্নত অটল রয়েছে লওহে মাহফুযে।
اَفَنَضْرِبُ عَنْكُمُ الذِّكْرَ-. صَفْحًا اَنْ كُنْتُمْ قَوْمًا مُّسْرِفِیْنَ-.(5)
অর্থ: তোমরা সীমাতিক্রমকারী সম্প্রদায়-এ কারণে! কি আমি তোমাদের কাছ থেকে কোরআন প্রত্যাহার! করে নেব?,
وَ كَمْ اَرْسَلْنَا مِنْ نَّبِیٍّ فِی الْاَوَّلِیْنَ(6)
উচ্চারণঃ ওয়া কাম আরছালনা-মিন নাবিইয়িন ফিল আওওয়ালীন।
অর্থ: পূর্ববর্তী লোকদের কাছে আমি অনেক! রসূলই প্রেরণ করেছি।,
وَ مَا یَاْتِیْهِمْ مِّنْ نَّبِیٍّ.-اِلَّا كَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ.-(7)
উচ্চারণঃ ওয়ামা-ইয়া’তীহিম মিন নাবিইয়িন ইল্লা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝি’ঊন।
অর্থ: যখনই তাদের কাছে কোন রসূল! আগমন করেছেন, তখনই তারা তাঁর সাথে! ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে,,
فَاَهْلَكْنَاۤ اَشَدَّ مِنْهُمْ بَطْشًا وَّ مَضٰى مَثَلُ الْاَوَّلِیْنَ(8)
উচ্চারণঃ ফাআহলাকনাআশাদ্দা মিনহুম বাতশাওঁ ওয়া মাদা-মাছালুল আওওয়ালীন।
অর্থ: সুতরাং আমি তাদের চেয়ে অধিক শক্তি সম্পন্নদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। পূর্ববর্তীদের এ ঘটনা অতীত হয়ে গেছে।
وَ لَىٕنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ لَیَقُوْلُنَّ خَلَقَهُنَّ الْعَزِیْزُ الْعَلِیْمُۙ(9)
উচ্চারণঃ ওয়া লাইন ছাআলতাহুম মান খালাকাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ালআরদালাইয়াকূলুন্না খালাকাহুন্নাল ‘আঝীঝুল ‘আলীম।
অর্থ: আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা! করেন কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে?, তারা অবশ্যই বলবে!, এগুলো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহ।,
الَّذِیْ جَعَلَ لَكُمُ الْاَرْضَ مَهْدًا وَّ جَعَلَ لَكُمْ فِیْهَا سُبُلًا لَّعَلَّكُمْ تَهْتَدُوْنَۚ(10)
উচ্চারণঃ আল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা মাহদাওঁ ওয়া জা‘আলা লাকুম ফীহা-ছুবুলাল লা‘আল্লাকুম তাহতাদূন।
অর্থ: যিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে! করেছেন বিছানা এবং তাতে তোমাদের জন্যে! করেছেন পথ!, যাতে তোমরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পার।,
وَ الَّذِیْ نَزَّلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءًۢ -.بِقَدَرٍۚ-فَاَنْشَرْنَا بِهٖ بَلْدَةً مَّیْتًاۚ-كَذٰلِكَ تُخْرَجُوْنَ,-(11)
উচ্চারণঃ ওয়াল্লাযী নাঝঝালা মিনাছ ছামাই মাআম বিকাদারিন ফাআনশারনা-বিহী বালদাতাম মাইতান কাযা-লিকা তুখরাজুন।
অর্থ: এবং যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ! করেছেন পরিমিত।, আতঃপর তদ্দ্বারা আমি মৃত ভূ-ভাগকে! পুনরুজ্জীবিত করেছি। তোমরা এমনিভাবে উত্থিত হবে।,
وَ الَّذِیْ خَلَقَ الْاَزْوَاجَ كُلَّهَا وَ جَعَلَ لَكُمْ مِّنَ الْفُلْكِ وَ الْاَنْعَامِ مَا تَرْكَبُوْنَۙ(12)
উচ্চারণঃ ওয়াল্লাযী খালাকাল আঝওয়া-জা কুল্লাহা- ওয়াজা‘আলা লাকুম মিনালফুলকি ওলআন‘আমি মাতারকাবূন।
অর্থ: এবং যিনি সবকিছুর যুগল সৃষ্টি করেছেন! এবং নৌকা ও চতুস্পদ জন্তুকে! তোমাদের জন্যে যানবাহনে পরিণত করেছেন,,
لِتَسْتَوٗا عَلٰى ظُهُوْرِهٖ ثُمَّ تَذْكُرُوْا نِعْمَةَ رَبِّكُمْ اِذَا اسْتَوَیْتُمْ عَلَیْهِ وَ تَقُوْلُوْا سُبْحٰنَ الَّذِیْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَ مَا كُنَّا لَهٗ مُقْرِنِیْنَۙ(13)
উচ্চারণঃ লিতাছতায়ূ‘আলা-জু হূরিহী ছু ম্মা! তাযকুরূনি‘মাতা রাব্বিকুম! ইযাছতাওয়াইতুম ‘আলাইহি ওয়া তাকূলূছুবহা-নাল্লাযী! ছাখখারা লানা-হাযা-ওয়ামা-কুন্না-লাহূমুকরিনীন।,
অর্থ: যাতে তোমরা তাদের পিঠের উপর আরোহণ কর। অতঃপর তোমাদের পালনকর্তার নেয়ামত স্মরণ কর এবং বল পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না।
وَ اِنَّاۤ اِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ(14)
অর্থ: আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব।
وَ جَعَلُوْا لَهٗ مِنْ عِبَادِهٖ جُزْءًاؕ-اِنَّ الْاِنْسَانَ لَكَفُوْرٌ مُّبِیْنٌؕ۠(15)
উচ্চারণঃ ওয়া জা‘আলূলাহূমিন ‘ইবা-দিহী জুঝআন ইন্নাল ইনছা-না লাকাফূরুম মুবীন।
অর্থ: তারা আল্লাহর বান্দাদের মধ্য থেকে আল্লাহর অংশ স্থির করেছে। বাস্তবিক মানুষ স্পষ্ট অকৃতজ্ঞ।
اَمِ اتَّخَذَ مِمَّا یَخْلُقُ بَنٰتٍ-. وَّ اَصْفٰىكُمْ بِالْبَنِیْنَ,-(16)
উচ্চারণঃ আমিত্তাখাযা মিম্মা-ইয়াখলুকুবানাতিওঁ ওয়া আসফা-কুম বিলবানীন।
অর্থ: তিনি কি তাঁর সৃষ্টি থেকে কন্যা সন্তান! গ্রহণ করেছেন এবং তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন পুত্র সন্তান?,
وَ اِذَا بُشِّرَ اَحَدُهُمْ بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحْمٰنِ مَثَلًا ظَلَّ وَجْهُهٗ مُسْوَدًّا وَّ هُوَ كَظِیْمٌ(17
উচ্চারণঃ ওয়া ইযা-বুশশিরা আহাদুহুম বিমা-দারাবা লিররাহমা-নি মাছালান জাল্লা ওয়াজহুহূ মুছওয়াদ্দাওঁ ওয়া হুওয়া কাজীম।
অর্থ: তারা রহমান আল্লাহর জন্যে যে!, কন্যা-সন্তান বর্ণনা করে!, যখন তাদের কাউকে তার সংবাদ দেয়া হয়!, তখন তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায় এবং ভীষণ মনস্তাপ. ভোগ করে।,
اَوَ مَنْ یُّنَشَّؤُا فِی الْحِلْیَةِ وَ هُوَ فِی-. الْخِصَامِ غَیْرُ مُبِیْنٍ.-(18)
উচ্চারণঃ আওয়া মাইঁ ইউনাশশাউ ফিল হিলয়াতি ওয়া হুওয়া ফিল খিসা-মি গাইরু মুবীন।
অর্থ: তারা কি এমন ব্যক্তিকে আল্লাহর জন্যে! বর্ণনা করে, যে অলংকারে লালিত-পালিত হয়! এবং বিতর্কে কথা বলতে অক্ষম।,
وَ جَعَلُوا الْمَلٰٓىٕكَةَ-. الَّذِیْنَ هُمْ عِبٰدُ الرَّحْمٰنِ اِنَاثًاؕ-اَشَهِدُوْا خَلْقَهُمْؕ.-سَتُكْتَبُ شَهَادَتُهُمْ وَ یُسْــٴَـلُوْنَ,-(19)
উচ্চারণঃ ওয়াজা‘আলুল মালাইকাতাল্লাযীনা হুম ‘ইবা-দুররাহমা-নি ইনা-ছান আশাহিদূ খালকাহুম ছাতুকতাবুশাহা-দাতুহুম ওয়া ইউছআলূন।
অর্থ: তারা নারী স্থির করে ফেরেশতাগণকে!, যারা আল্লাহর বান্দা।. তারা কি তাদের সৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেছে?,, এখন তাদের দাবী লিপিবদ্ধ করা! হবে এবং তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে। ,
وَ قَالُوْا لَوْ شَآءَ الرَّحْمٰنُ مَا عَبَدْنٰهُمْؕ-مَا لَهُمْ بِذٰلِكَ مِنْ عِلْمٍۗ-اِنْ هُمْ اِلَّا یَخْرُصُوْنَؕ(20)
উচ্চারণঃ ওয়া কা-লূলাও শাআররাহমা-নুমা-‘আবাদনা-হুম মা-লাহুম বিযা-লিকা মিন ‘ইলমিন ইন হুম ইল্লা-ইয়াখরুসূন।
অর্থ: তারা বলে, রহমান আল্লাহ ইচছা না করলে আমরা ওদের পূজা করতাম না। এ বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। তারা কেবল অনুমানে কথা বলে।
اَمْ اٰتَیْنٰهُمْ كِتٰبًا مِّنْ-. قَبْلِهٖ فَهُمْ بِهٖ مُسْتَمْسِكُوْنَ,-(21)
উচ্চারণঃ আম আ-তাইনা-হুম কিতা-বাম মিন কাবলিহী ফাহুম বিহী মুছতামছিকূন।
অর্থ: আমি কি তাদেরকে কোরআনের পূর্বে! কোন কিতাব দিয়েছি!, অতঃপর তারা তাকে আঁকড়ে রেখেছে?,
بَلْ قَالُوْۤا اِنَّا وَجَدْنَاۤ اٰبَآءَنَا عَلٰۤى -.اُمَّةٍ وَّ اِنَّا عَلٰۤى اٰثٰرِهِمْ مُّهْتَدُوْنَ,-(22)
উচ্চারণঃ বাল কা-লূইন্না-ওয়াজাদনাআ-বাআনা ‘আলাউম্মাতিওঁ ওয়া ইন্না-‘আলাআছা-রিহিম মুহতাদূন।
অর্থ: বরং তারা বলে!, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের! পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে, পথপ্রাপ্ত।
وَ كَذٰلِكَ مَاۤ اَرْسَلْنَا-. مِنْ قَبْلِكَ فِیْ قَرْیَةٍ مِّنْ نَّذِیْرٍ اِلَّا قَالَ مُتْرَفُوْهَاۤۙ-اِنَّا-. وَجَدْنَاۤ اٰبَآءَنَا عَلٰۤى اُمَّةٍ وَّ اِنَّا عَلٰۤى اٰثٰرِهِمْ مُّقْتَدُوْنَ,-(23)
উচ্চারণঃ ওয়া কাযা-লিকা মাআরছালনা-মিন কাবলিকা ফী কারইয়াতিম মিন নাযীরিন ইল্লা-কালা মুতরাফূহা ইন্না-ওয়াজাদনাআ-বাআনা ‘আলাউম্মাতিওঁ ওয়া ইন্না-‘আলা আ-ছা-রিহিম মুকতাদূ ন।
অর্থ: এমনিভাবে আপনার পূর্বে! আমি যখন কোন জনপদে কোন সতর্ককারী প্রেরণ করেছি!, তখনই তাদের বিত্তশালীরা বলেছে,. আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের! পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ, করে চলছি।.
قٰلَ اَوَ لَوْ جِئْتُكُمْ بِاَهْدٰى -.مِمَّا وَجَدْتُّمْ عَلَیْهِ اٰبَآءَكُمْؕ.-قَالُوْۤا اِنَّا بِمَاۤ اُرْسِلْتُمْ بِهٖ كٰفِرُوْنَ.-(24)
উচ্চারণঃ কা-লা আওয়ালাও জি’তুকুম বিআহ দা-মিম্মা-ওয়াজাত্তুম ‘আলাইহি আ-বাআকুম কালূইন্না-বিমাউরছিলতুম বিহী কা-ফিরূন।
অর্থ: সে বলত, তোমরা তোমাদের!পূর্বপুরুষদেরকে যে বিষয়ের উপর পেয়েছ, আমি যদি তদপেক্ষা উত্তম বিষয় নিয়ে! তোমাদের কাছে এসে থাকি!, তবুও কি তোমরা তাই বলবে?, তারা বলত তোমরা যে বিষয়সহ প্রেরিত হয়েছ!, তা আমরা মানব না।
فَانْتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَانْظُرْ كَیْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِیْنَ۠(25)
উচ্চারণঃ ফানতাকামনা-মিনহুম ফানজুর কাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল মুকাযযিবীন।
অর্থ: অতঃপর আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিয়েছি। অতএব দেখুন, মিথ্যারোপকারীদের পরিণাম কিরূপ হয়েছে।
وَ اِذْ قَالَ اِبْرٰهِیْمُ لِاَبِیْهِ وَ قَوْمِهٖۤ اِنَّنِیْ بَرَآءٌ مِّمَّا تَعْبُدُوْنَۙ(26)
উচ্চারণঃ ওয়া ইযকা-লা ইবরাহীমুলিআবীহি ওয়া কাওমিহীইন্নানী বারাউম মিম্মা-তা‘বুদূন।
অর্থ: যখন ইব্রাহীম তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলল, তোমরা যাদের পূজা কর, তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
اِلَّا الَّذِیْ فَطَرَنِیْ فَاِنَّهٗ سَیَهْدِیْنِ(27)
উচ্চারণঃ ইল্লাল্লাযী ফাতারানী ফাইন্নাহূছাইয়াহদীন।
অর্থ: তবে আমার সম্পর্ক তাঁর সাথে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতএব, তিনিই আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করবেন।
وَ جَعَلَهَا كَلِمَةًۢ بَاقِیَةً-. فِیْ عَقِبِهٖ لَعَلَّهُمْ یَرْجِعُوْنَ..-(28)
উচ্চারণঃ ওয়া জা‘আলাহা-কালিমাতাম বা-কিয়াতান ফী ‘আকিবিহী লা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।
অর্থ: এ কথাটিকে সে অক্ষয় বাণীরূপে তার সন্তানদের মধ্যে রেখে গেছে, যাতে তারা আল্লাহর দিকেই আকৃষ্ট থাকে।
بَلْ مَتَّعْتُ هٰۤؤُلَآءِ وَ اٰبَآءَهُمْ حَتّٰى.- جَآءَهُمُ الْحَقُّ وَ رَسُوْلٌ مُّبِیْنٌ.-(29)
উচ্চারণঃ বাল মাত্তা‘তুহাউলাইওয়াআ-বাআহুম হাত্তা-জাআহুমুল হাক্কু ওয়া রাছুলুম মুবীন।
অর্থ: পরন্ত আমিই এদেরকে ও এদের! পূর্বপুরুষদেরকে জীবনোপভোগ করতে দিয়েছি!, অবশেষে তাদের কাছে! সত্য ও স্পষ্ট বর্ণনাকারী রসূল আগমন. করেছে।
وَ لَمَّا جَآءَهُمُ الْحَقُّ قَالُوْا -. هٰذَا سِحْرٌ وَّ اِنَّا بِهٖ كٰفِرُوْنَ -.(30)
উচ্চারণঃ ওয়া লাম্মা-জাআহুমুল হাক্কুকা-লূহা-যা-ছিহরুওঁ ওয়া ইন্না-বিহী কা-ফিরূন।
অর্থ: যখন সত্য তাদের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, এটা যাদু, আমরা একে মানি না।
وَ قَالُوْا لَوْ لَا نُزِّلَ هٰذَا الْقُرْاٰنُ -.عَلٰى رَجُلٍ مِّنَ الْقَرْیَتَیْنِ عَظِیْمٍ.-(31)
উচ্চারণঃ ওয়া কা-লূলাওলা-নুঝঝিলা হা-যাল কুরআন-নু‘আলা-রাজুলিম মিনাল কারইয়াতাইনি ‘আজীম।
অর্থ: তারা বলে, কোরআন কেন! দুই জনপদের কোন প্রধান ব্যক্তির উপর! অবতীর্ণ হল না?,
اَهُمْ یَقْسِمُوْنَ رَحْمَتَ-. رَبِّكَؕ-نَحْنُ قَسَمْنَا بَیْنَهُمْ مَّعِیْشَتَهُمْ فِی الْحَیٰوةِ-. الدُّنْیَا وَ رَفَعْنَا بَعْضَهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ -. دَرَجٰتٍ لِّیَتَّخِذَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا سُخْرِیًّاؕ-.وَ رَحْمَتُ رَبِّكَ خَیْرٌ مِّمَّا یَجْمَعُوْنَ.-(32)
উচ্চারণঃ আহুম ইয়াকছিমূনা রাহমাতা! রাব্বিকা নাহনুকাছামনা-বাইনাহুম মা‘ঈশাতাহুম ফিল হায়া-তিদ্দুনইয়া-ওয়া রাফা‘না-বা‘দাহুম! ফাওকা বা‘দিন দারাজা-তিল লিইয়াত্তাখিযা বা‘দুহুম বা‘দান ছুখরিইইয়াওঁ ওয়া রাহমাতুরাব্বিকা! খাইরুম মিম্মা-ইয়াজমা‘ঊন।,
অর্থ: তারা কি আপনার পালনকর্তার রহমত বন্টন করে? আমি তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বন্টন করেছি পার্থিব জীবনে এবং একের মর্যাদাকে অপরের উপর উন্নীত করেছি, যাতে একে অপরকে সেবক রূপে গ্রহণ করে। তারা যা সঞ্চয় করে, আপনার পালনকর্তার রহমত তদপেক্ষা উত্তম।
وَ لَوْ لَاۤ اَنْ یَّكُوْنَ النَّاسُ اُمَّةً وَّاحِدَةً لَّجَعَلْنَا لِمَنْ یَّكْفُرُ بِالرَّحْمٰنِ لِبُیُوْتِهِمْ سُقُفًا مِّنْ فِضَّةٍ وَّ مَعَارِجَ عَلَیْهَا یَظْهَرُوْنَۙ(33)
উচ্চারণঃ ওয়া লাওলাআইঁ ইয়াকূনান্না-ছুউম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতাল লাজা‘আলনা-লিমাইঁ ইয়াকফুরু বিররাহমা-নি লিবুইঊতিহিম ছুকু ফাম মিন ফিদ্দাতিওঁ ওয়া মা‘আ-রিজা ‘আলাইহাইয়াজহারূন।
অর্থ: যদি সব মানুষের এক মতাবলম্বী হয়ে যাওয়ার আশংকা না থাকত, তবে যারা দয়াময় আল্লাহকে অস্বীকার করে আমি তাদেরকে দিতাম তাদের গৃহের জন্যে রৌপ্য নির্মিত ছাদ ও সিঁড়ি, যার উপর তারা চড়ত।
وَ لِبُیُوْتِهِمْ اَبْوَابًا وَّ سُرُرًا عَلَیْهَا یَتَّكِـُٔوْنَۙ(34)
উচ্চারণঃ ওয়া লিবুইউতিহিম আবওয়া-বাওঁ ওয়া ছুরুরান ‘আলাইহা-ইয়াত্তাকিঊন।
অর্থ: এবং তাদের গৃহের জন্যে দরজা দিতাম! এবং পালংক দিতাম যাতে তারা হেলান দিয়ে বসত।,
وَ زُخْرُفًاؕ-وَ اِنْ كُلُّ ذٰلِكَ لَمَّا مَتَاعُ الْحَیٰوةِ الدُّنْیَاؕ-وَ الْاٰخِرَةُعِنْدَ رَبِّكَ لِلْمُتَّقِیْنَ۠(35)
উচ্চারণঃ ওয়া যুখরুফাওঁ ওয়া ইন কুল্লুযা-লিকা লাম্মা-মাতা‘উল হায়াতিদ্দুনইয়া- ওয়াল আ-খিরাতু‘ইনদা রাব্বিকা লিলমুত্তাকীন।
অর্থ: এবং স্বর্ণনির্মিতও দিতাম। এগুলো সবই তো পার্থিব জীবনের ভোগ সামগ্রী মাত্র। আর পরকাল আপনার পালনকর্তার কাছে তাঁদের জন্যেই যারা ভয় করে।
وَ مَنْ یَّعْشُ عَنْ ذِكْرِ الرَّحْمٰنِ-. نُقَیِّضْ لَهٗ شَیْطٰنًا فَهُوَ لَهٗ قَرِیْنٌ.-(36)
উচ্চারণঃ ওয়া মাইঁ ইয়া‘শু ‘আন যিকরির! রাহমা-নি নুকাইয়িদ লাহূশাইতা-নান! ফাহুওয়া লাহূ কারীন।,
অর্থ: যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী।
وَ اِنَّهُمْ لَیَصُدُّوْنَهُمْ عَنِ -.السَّبِیْلِ وَ یَحْسَبُوْنَ- اَنَّهُمْ" مُّهْتَدُوْنَ.-(37)
উচ্চারণঃ ওয়া ইন্নাহুম লাইয়াসুদ্দূনাহুম ‘আনিছছাবীলি ওয়া ইয়াহছাবূনা আন্নাহুম মুহতাদূন।
অর্থ: শয়তানরাই মানুষকে সৎপথে! বাধা দান করে, আর মানুষ মনে করে যে!, তারা সৎপথে রয়েছে।.
حَتّٰۤى اِذَا جَآءَنَا قَالَ یٰلَیْتَ بَیْنِیْ وَ بَیْنَكَ بُعْدَ الْمَشْرِقَیْنِ فَبِئْسَ الْقَرِیْنُ(38)
অর্থ: অবশেষে যখন সে আমার কাছে আসবে, তখন সে শয়তানকে বলবে, হায়, আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব-পশ্চিমের দূরত্ব থাকত। কত হীন সঙ্গী সে।
وَ لَنْ یَّنْفَعَكُمُ الْیَوْمَ اِذْ -. ظَّلَمْتُمْ اَنَّكُمْ فِی الْعَذَابِ مُشْتَرِكُوْنَ.-(39)
উচ্চারণঃ ওয়া লাইঁ ইয়ানফা‘আকুমুল ইয়াওমা ইযজালামতুম আন্নাকুম ফিল ‘আযা-বি মুশতারিকূন।
অর্থ: তোমরা যখন কুফর করছিলে!, তখন তোমাদের আজকের আযাবে শরীক হওয়া কোন কাজে! আসবে না।,
اَفَاَنْتَ تُسْمِعُ الصُّمَّ اَوْ تَهْدِی-. الْعُمْیَ وَ مَنْ كَانَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ.-(40)
উচ্চারণঃ আফাআনতা তুছমি‘উস সুম্মা আও তাহ দিল ‘উমইয়া ওয়া মান কা-না ফী দালা-লিম মুবীন।
অর্থ: আপনি কি বধিরকে শোনাতে পারবেন?, অথবা যে অন্ধ ও যে স্পষ্ট পথ ভ্রষ্টতায় লিপ্ত!, তাকে পথ! প্রদর্শণ করতে পারবেন?
فَاِمَّا نَذْهَبَنَّ بِكَ فَاِنَّا مِنْهُمْ مُّنْتَقِمُوْنَۙ(41)
উচ্চারণঃ ফাইম্মা-নাযহাবান্না বিকা ফাইন্না-মিনহুম মুনতাকিমূন।
অর্থ: অতঃপর আমি যদি আপনাকে নিয়ে যাই, তবু আমি তাদের কাছে থেকে প্রতিশোধ নেব।
اَوْ نُرِیَنَّكَ الَّذِیْ وَعَدْنٰهُمْ فَاِنَّا عَلَیْهِمْ مُّقْتَدِرُوْنَ(42)
উচ্চারণঃ আও নুরিইয়ান্নাকাল্লাযী ওয়া ‘আদনা-হুম ফাইন্না ‘আলাইহিম মুকতাদিরূন।
অর্থ: অথবা যদি আমি তাদেরকে যে আযাবের ওয়াদা দিয়েছি, তা আপনাকে দেখিয়ে দেই, তবু তাদের উপর আমার পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে।
فَاسْتَمْسِكْ بِالَّذِیْۤ اُوْحِیَ-. اِلَیْكَۚ-اِنَّكَ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ.-(43)
উচ্চারণঃ ফাছতামছিক বিল্লাযীঊহিয়া ইলাইকা ইন্নাকা ‘আলা-সিরা-তিম মুছতাকীম।
অর্থ: অতএব, আপনার প্রতি যে ওহী নাযিল করা হয়, তা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করুন। নিঃসন্দেহে আপনি সরল পথে রয়েছেন।
وَ اِنَّهٗ لَذِكْرٌ لَّكَ وَ-. لِقَوْمِكَۚ-وَ سَوْفَ تُسْــٴَـلُوْنَ-.(44)
উচ্চারণঃ ওয়া ইন্নাহূলাযিকরুল্লাকা ওয়া লিকাওমিকা ওয়া ছাওফা তুছআলূন।
অর্থ: এটা আপনার ও আপনার সম্প্রদায়ের জন্যে উল্লেখিত থাকবে এবং শীঘ্রই আপনারা জিজ্ঞাসিত হবেন।
وَ سْــٴَـلْ مَنْ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رُّسُلِنَاۤ اَجَعَلْنَا مِنْ دُوْنِ الرَّحْمٰنِ اٰلِهَةً یُّعْبَدُوْنَ۠(45)
উচ্চারণঃ ওয়াছআল মান আরছালনা-মিন কাবলিকা মিররুছুলিনাআজা‘আলনা-মিন দূনিররাহমা-নি আ-লিহাতাইঁ ইউ‘বাদূন।
অর্থ: আপনার পূর্বে আমি যেসব রসূল! প্রেরণ করেছি, তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন!, দয়াময় আল্লাহ ব্যতীত আমি কি কোন উপাস্য স্থির করেছিলাম! এবাদতের জন্যে?.
وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا مُوْسٰى بِاٰیٰتِنَاۤ-. اِلٰى فِرْعَوْنَ وَ مَلَاۡىٕهٖ فَقَالَ اِنِّیْ رَسُوْلُ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ.-(46)
উচ্চারণঃ ওয়া লাকাদ আরছালনা-মূছা-বিআ-য়া-তিনাইলা-ফিরআ‘ওনা ওয়া মালাইহী ফাকা-লা ইন্নী রাছূলুরাব্বিল ‘আ-লামীন।
অর্থ: আমি মূসাকে আমার নিদর্শনাবলী দিয়ে! ফেরাউন ও তার পরিষদবর্গের! কাছে প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর সে বলেছিল!, আমি বিশ্ব পালনকর্তার রসূল।,
فَلَمَّا جَآءَهُمْ بِاٰیٰتِنَاۤ اِذَا -. هُمْ مِّنْهَا یَضْحَكُوْنَ.-(47)
উচ্চারণঃ ফালাম্মা-জাআহুম বিআ-য়া-তিনাইযা হুম মিনহা-ইয়াদহাকূন।
অর্থ: অতঃপর. সে যখন তাদের কাছে আমার নিদর্শনাবলী উপস্থাপন করল!, তখন তারা হাস্যবিদ্রুপ করতে লাগল।,
وَ مَا نُرِیْهِمْ مِّنْ اٰیَةٍ اِلَّا-. هِیَ اَكْبَرُ مِنْ اُخْتِهَا٘-وَ اَخَذْنٰهُمْ بِالْعَذَابِ لَعَلَّهُمْ یَرْجِعُوْنَ.-(48)
উচ্চারণঃ ওয়ামা-নূরীহিম মিন আ-য়া-তিন ইল্লা-হিয়া আকবারু মিন উখতিহা- ওয়া আখাযনা-হুম বিল ‘আযা-বি লা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।
অর্থ: আমি তাদেরকে যে নিদর্শনই দেখাতাম!, তাই হত পূর্ববর্তী নিদর্শন অপেক্ষা! বৃহৎ এবং আমি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করলাম!, যাতে তারা ফিরে আসে।,
وَ قَالُوْا یٰۤاَیُّهَ السّٰحِرُ -.ادْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِنْدَكَۚ-اِنَّنَا لَمُهْتَدُوْنَ.-(49)
উচ্চারণঃ ওয়াকা-লূইয়াআইয়ুহাছছা-হিরুদ‘উলানা-রাব্বাকা বিমা-‘আহিদা ‘ইনদাকা ইন্নানালামুহতাদূ ন।
অর্থ: তারা বলল, হে যাদুকর, তুমি আমাদের জন্যে তোমার পালনকর্তার কাছে সে বিষয়! প্রার্থনা কর, যার ওয়াদা তিনি তোমাকে দিয়েছেন!; আমরা অবশ্যই সৎপথ অবলম্বন করব।,
فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُمُ -. الْعَذَابَ اِذَا هُمْ یَنْكُثُوْنَ-(50)
উচ্চারণঃ ফালাম্মা-কাশাফনা-‘আনহুমুল ‘আযা-বা ইযা-হুম ইয়ানকুছূ ন।
অর্থ: অতঃপর যখন আমি তাদের থেকে আযাব প্রত্যাহার করে নিলাম, তখনই তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করতে লাগলো।
وَ نَادٰى فِرْعَوْنُ فِیْ قَوْمِهٖ-. قَالَ یٰقَوْمِ اَلَیْسَ لِیْ مُلْكُ مِصْرَ وَ هٰذِهِ الْاَنْهٰرُ-. تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِیْۚ-اَفَلَا تُبْصِرُوْنَؕ-.(51)
উচ্চারণঃ ওয়ানা-দা-ফির‘আওনুফী কাওমিহী কা-লা ইয়া-কাওমি আলাইছা লী মুলকুমিসরা ওয়া হাযিহিল আনহা-রু তাজরী মিন তাহতী আফালা-তুবসিরূন।
অর্থ: ফেরাউন তার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল!, হে আমার কওম!, আমি কি মিসরের অধিপতি নই?, এই নদী গুলো আমার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয়!, তোমরা কি দেখ না?,
اَمْ اَنَا خَیْرٌ مِّنْ هٰذَا الَّذِیْ -. هُوَ مَهِیْنٌ ﳔ وَّ لَا یَكَادُ یُبِیْنُ-.(52)
উচ্চারণঃ আম আনা খাইরুম মিন হা-যাল্লাযী হুওয়া মাহীনুওঁ ওয়ালা-ইয়াকা-দুইউবীন।
অর্থ: আমি যে শ্রেষ্ট এ ব্যক্তি থেকে, যে নীচ এবং কথা বলতেও সক্ষম নয়।
فَلَوْ لَاۤ اُلْقِیَ عَلَیْهِ اَسْوِرَةٌ مِّنْ -.ذَهَبٍ اَوْ جَآءَ مَعَهُ الْمَلٰٓىٕكَةُ مُقْتَرِنِیْنَ-.(53)
উচ্চারণঃ ফালাওলাউলকিয়া ‘আলাইহি আছবিরাতুমমিনযাহাবিন আও জাআ মা‘আহুল মালাইকাতুমুকতারিনীন।
অর্থ: তাকে কেন স্বর্ণবলয় পরিধান করানো হল না, অথবা কেন আসল না তার সঙ্গে ফেরেশতাগণ দল বেঁধে?
فَاسْتَخَفَّ قَوْمَهٗ فَاَطَاعُوْهُؕ-اِنَّهُمْ كَانُوْا قَوْمًا فٰسِقِیْنَ(54)
উচ্চারণঃ ফাছতাখাফফা কাওমাহূফাআতা-‘ঊহু ইন্নাহুম কা-নূকাওমান ফা-ছিকীন।
অর্থ: অতঃপর সে তার সম্প্রদায়কে বোকা বানিয়ে দিল, ফলে তারা তার কথা মেনে নিল। নিশ্চয় তারা ছিল পাপাচারী সম্প্রদায়।
فَلَمَّاۤ اٰسَفُوْنَا انْتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَاَغْرَقْنٰهُمْ اَجْمَعِیْنَۙ(55)
উচ্চারণঃ ফালাম্মাআ-ছাফূনানতাকামনা-মিনহুম ফাআগরাকনা-হুম আজমা‘ঈন।
অর্থ: অতঃপর যখন আমাকে রাগাম্বিত করল তখন আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিলাম এবং নিমজ্জত করলাম। তাদের সবাইকে।
فَجَعَلْنٰهُمْ سَلَفًا وَّ مَثَلًا لِّلْاٰخِرِیْنَ۠(56)
উচ্চারণঃ ফাজা‘আলনা-হুম ছালাফাওঁ ওয়া মাছালালিলল আ-খিরীন।
অর্থ: অতঃপর আমি তাদেরকে করে দিলাম অতীত লোক ও দৃষ্টান্ত পরবর্তীদের জন্যে।
وَ لَمَّا ضُرِبَ ابْنُ مَرْیَمَ مَثَلًا اِذَا قَوْمُكَ مِنْهُ یَصِدُّوْنَ(57)
উচ্চারণঃ ওয়ালাম্মা-দুরিবাবনুমারইয়ামা মাছালান ইযা-কাওমুকা মিনহু ইয়াসিদ্দূন।
অর্থ: যখনই মরিয়ম তনয়ের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হল, তখনই আপনার সম্প্রদায় হঞ্জগোল শুরু করে দিল
وَ قَالُوْۤا ءَاٰلِهَتُنَا خَیْرٌ -.اَمْ هُوَؕ-مَا ضَرَبُوْهُ لَكَ اِلَّا -.جَدَلًاؕ-بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُوْنَ.-(58)
উচ্চারণঃ ওয়া কা-লূআ আ-লিহাতুনা-খাইরুন আম হুওয়া মা-দারাবূহু লাকা ইল্লা-জাদালান বাল হুম কাওমুন খাসিমূন।
অর্থ: এবং বলল, আমাদের উপাস্যরা শ্রেষ্ঠ, না সে?, তারা আপনার সামনে যে উদাহরণ! উপস্থাপন করে তা. কেবল বিতর্কের জন্যেই করে। বস্তুতঃ তারা হল! এক বিতর্ককারী সম্প্রদায়।,
اِنْ هُوَ اِلَّا عَبْدٌ اَنْعَمْنَا عَلَیْهِ وَ جَعَلْنٰهُ مَثَلًا لِّبَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَؕ(59)
উচ্চারণঃ ইন হুওয়া ইল্লা- ‘আবদুন আন‘আমনা- ‘আলাইহি ওয়া জা‘আলনা-হুমাছালাল লিবানীইছরাঈল।
অর্থ: সে তো এক বান্দাই বটে আমি তার! প্রতি অনুগ্রহ করেছি এবং তাকে! করেছি বণী-ইসরাঈলের জন্যে আদর্শ।,
وَ لَوْ نَشَآءُ لَجَعَلْنَا-. مِنْكُمْ مَّلٰٓىٕكَةً فِی الْاَرْضِ یَخْلُفُوْنَ,-(60)
উচ্চারণঃ ওয়া লাও নাশাউ লাজা‘আলনা-মিনকুম মালাইকাতান ফিল আরদিইয়াখলুফূন।
অর্থ: "আমি ইচ্ছা করলে তোমাদের থেকে ফেরেশতা সৃষ্টি করতাম!, যারা পৃথিবীতে একের পর এক বসবাস করত।,
وَ اِنَّهٗ لَعِلْمٌ لِّلسَّاعَةِ فَلَا تَمْتَرُنَّ-. بِهَا وَ اتَّبِعُوْنِؕ-هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِیْمٌ-(61)
উচ্চারণঃ ওয়া ইন্নাহূলা‘ইলমুল লিছছা-‘আতি ফালা-তামতারুন্না বিহা-ওয়াত্তাবি‘ঊনি হা-যাসিরাতুম মুছতাকীম।
অর্থ: সুতরাং তা হল কেয়ামতের নিদর্শন। কাজেই তোমরা কেয়ামতে সন্দেহ করো না এবং আমার কথা মান। এটা এক সরল পথ।
وَ لَا یَصُدَّنَّكُمُ-. الشَّیْطٰنُۚ-اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِیْنٌ,-(62)
উচ্চারণঃ ওয়ালা-ইয়াসুদ্দান্নাকুমুশ শাইতা-নু ইন্নাহূলাকুম ‘আদুওউম মুবীন।
অর্থ: শয়তান যেন তোমাদেরকে নিবৃত্ত না করে। সে তোমাদের প্রকাশ্য শুত্রু।
وَ لَمَّا جَآءَ عِیْسٰى بِالْبَیِّنٰتِ قَالَ قَدْ جِئْتُكُمْ بِالْحِكْمَةِ وَ لِاُبَیِّنَ لَكُمْ بَعْضَ الَّذِیْ تَخْتَلِفُوْنَ فِیْهِۚ-فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیْعُوْنِ(63)
উচ্চারণঃ ওয়া লাম্মা-জাআ ‘ঈছা-বিলবাইয়িনা-তি কা-লা কাদ জি’তুকুম বিলহিকমাতি ওয়া লিউবাইয়িনা লাকুম বা‘দাল্লাযী তাখতালিফূনা ফীহি ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়াআতী‘ঊন।
অর্থ: ঈসা যখন স্পষ্ট নিদর্শনসহ আগমন করল!, তখন বলল!, আমি তোমাদের কাছে প্রজ্ঞা নিয়ে এসেছি এবং তোমরা যে!, কোন কোন বিষয়ে মতভেদ! করছ তা ব্যক্ত করার জন্যে এসেছি!, অতএব!, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর !এবং আমার কথা মান।.
اِنَّ اللّٰهَ هُوَ رَبِّیْ وَ رَبُّكُمْ فَاعْبُدُوْهُؕ-هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِیْمٌ(64)
উচ্চারণঃ ইন্নাল্লা-হা হুওয়া রাববী ওয়া রাব্বুকুম ফা‘বুদূ হু হা-যা-সিরাতুম মুছতাকীম।
অর্থ: নিশ্চয় আল্লাহই আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তাঁর এবাদত কর। এটা হল সরল পথ।
فَاخْتَلَفَ الْاَحْزَابُ مِنْۢ -.بَیْنِهِمْۚ-فَوَیْلٌ لِّلَّذِیْنَ ظَلَمُوْا مِنْ عَذَابِ یَوْمٍ اَلِیْمٍ,-(65)
উচ্চারণঃ ফাখতালাফাল আহঝা-বুমিম বাইনিহিম ফাওয়াইলুলিলল্লাযীনা জালামূমিন ‘আযা-বি ইয়াওমিন আলীম।
অর্থ: অতঃপর তাদের মধ্যে থেকে বিভিন্ন দল মতভেদ সৃষ্টি করল। সুতরাং যালেমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক দিবসের আযাবের দুর্ভোগ।
هَلْ یَنْظُرُوْنَ اِلَّا السَّاعَةَ اَنْ -. تَاْتِیَهُمْ بَغْتَةً وَّ هُمْ لَا یَشْعُرُوْنَ,-(66)
উচ্চারণঃ হাল ইয়ানজুরূনা ইল্লাছছা-‘আতা আন তা’তিয়াহুম বাগতাতাওঁ ওয়া হুম লা-ইয়াশ‘উরূন।
অর্থ: তারা কেবল কেয়ামতেরই অপেক্ষা করছে যে, আকস্মিকভাবে তাদের কাছে এসে যাবে এবং তারা খবর ও রাখবে না।
اَلْاَخِلَّآءُ یَوْمَىٕذٍۭ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ اِلَّا الْمُتَّقِیْنَؕ۠(67)
উচ্চারণঃ আলআখিল্লাউ ইয়াওমাইযিম বা‘দুহুম লিবা‘দিন ‘আদুওউন ইল্লাল মুত্তাকীন।
অর্থ: বন্ধুবর্গ সেদিন একে অপরের শত্রু হবে, তবে খোদাভীরুরা নয়।
یٰعِبَادِ لَا خَوْفٌ عَلَیْكُمُ الْیَوْمَ وَ لَاۤ اَنْتُمْ تَحْزَنُوْنَۚ(68)
উচ্চারণঃ ইয়া-‘ইবাদি লা-খাওফুন ‘আলাইকুমুল ইয়াওমা ওয়ালাআনতুম তাহঝানূন।
অর্থ: হে আমার বান্দাগণ, তোমাদের আজ কোন ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না।
اَلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا بِاٰیٰتِنَا وَ كَانُوْا مُسْلِمِیْنَۚ(69)
উচ্চারণঃ আল্লাযীনা আ-মানূবিআ-য়া-তিনা-ওয়া কা-নূমুছলিমীন।
অর্থ: তোমরা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলে এবং তোমরা আজ্ঞাবহ ছিলে।
اُدْخُلُوا الْجَنَّةَ اَنْتُمْ وَ اَزْوَاجُكُمْ تُحْبَرُوْنَ(70)
উচ্চারণঃ উদখুলুল জান্নাতা আনতুম ওয়া আঝওয়া-জুকুম তুহবারূন।
অর্থ: জান্নাতের প্রবেশ কর তোমরা! এবং তোমাদের বিবিগণ সানন্দে।,
یُطَافُ عَلَیْهِمْ بِصِحَافٍ مِّنْ ذَهَبٍ وَّ اَكْوَابٍۚ-وَ فِیْهَا مَا تَشْتَهِیْهِ الْاَنْفُسُ وَ تَلَذُّ الْاَعْیُنُۚ-وَ اَنْتُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَۚ(71)
উচ্চারণঃ ইউতা-ফু‘আলাইহিম বিসিহা-ফিম মিন যাহাবিওঁ ওয়া আকওয়া-বিওঁ ওয়া ফীহা-মাতাশতাহীহিল আনফুছুওয়া তালাযযুল আ‘ইউনু ওয়া আনতুম ফীহা-খা-লিদূ ন।
অর্থ: তাদের কাছে পরিবেশন করা হবে স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র এবং তথায় রয়েছে মনে যা চায় এবং নয়ন যাতে তৃপ্ত হয়। তোমরা তথায় চিরকাল অবস্থান করবে।
وَ تِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِیْۤ-. اُوْرِثْتُمُوْهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ,-(72)
উচ্চারণঃ ওয়া তিলকাল জান্নাতুল্লাতীঊরিছতুমূহা-বিমা-কুনতুম তা‘মালূন।
অর্থ:এই যে, জান্নাতের উত্তরাধিকারী! তোমরা হয়েছ, এটা তোমাদের কর্মের ফল,।
لَكُمْ فِیْهَا فَاكِهَةٌ كَثِیْرَةٌ مِّنْهَا تَاْكُلُوْنَ(73)
উচ্চারণঃ লাকুম ফীহা-ফা-কিহাতুন কাছীরাতুম মিনহা-তা’কুলূন।
অর্থ: তথায় তোমাদের জন্যে আছে প্রচুর ফল-মূল, তা থেকে তোমরা আহার করবে।
اِنَّ الْمُجْرِمِیْنَ فِیْ عَذَابِ جَهَنَّمَ خٰلِدُوْنَۚۖ(74)
উচ্চারণঃ ইন্নাল মুজরিমীনা ফী ‘আযা-বি জাহান্নামা খা-লিদূন।
অর্থ: নিশ্চয় অপরাধীরা জাহান্নামের আযাবে চিরকাল থাকবে।
لَا یُفَتَّرُ عَنْهُمْ وَ- هُمْ فِیْهِ مُبْلِسُوْنَۚ,-(75)
উচ্চারণঃ লা-ইউফাত্তারু ‘আনহুম ওয়া হুম ফীহি মুবলিছূন।
অর্থ: তাদের থেকে আযাব লাঘব করা হবে না এবং তারা তাতেই থাকবে হতাশ হয়ে।
وَ مَا ظَلَمْنٰهُمْ وَ لٰكِنْ كَانُوْا هُمُ الظّٰلِمِیْنَ(76)
উচ্চারণঃ ওয়ামা-জালামনা-হুম ওয়ালা-কিন কা-নূহুমুজ্জা-লিমীন।
অর্থ: আমি তাদের প্রতি জুলুম করিনি!; কিন্তু তারাই ছিল জালেম।,
وَ نَادَوْا یٰمٰلِكُ لِیَقْضِ عَلَیْنَا -. رَبُّكَؕ-قَالَ اِنَّكُمْ مّٰكِثُوْنَ,-(77)
উচ্চারণঃ ওয়ানা-দাও ইয়া-মা-লিকুলিইয়াকদি ‘আলাইনা-রাব্বুকা কা-লা ইন্নাকুম মা-কিছূন।
অর্থ: তারা ডেকে বলবে, হে মালেক, পালনকর্তা আমাদের কিসসাই শেষ করে দিন। সে বলবে, নিশ্চয় তোমরা চিরকাল থাকবে।
لَقَدْ جِئْنٰكُمْ بِالْحَقِّ وَ لٰكِنَّ-. اَكْثَرَكُمْ لِلْحَقِّ كٰرِهُوْنَ,-(78)
উচ্চারণঃ লাকাদ জি’না-কুম বিল হাক্কিওয়ালা-কিন্না আকছারাকুম লিলহাক্কিকা-রিহূন।
অর্থ: আমি তোমাদের কাছে সত্যধর্ম পৌঁছিয়েছি; কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই সত্যধর্মে নিস্পৃহ!
اَمْ اَبْرَمُوْۤا اَمْرًا فَاِنَّا مُبْرِمُوْنَۚ(79)
উচ্চারণঃ আম আবরামূআমরান ফাইন্না মুবরিমুন।
অর্থ: তারা কি কোন ব্যবস্থা চুড়ান্ত করেছে? তাহলে আমিও এক ব্যবস্থা চুড়ান্ত করেছি।
اَمْ یَحْسَبُوْنَ اَنَّا لَا نَسْمَعُ-. سِرَّهُمْ وَ نَجْوٰىهُمْؕ-بَلٰى وَ رُسُلُنَا لَدَیْهِمْ یَكْتُبُوْنَ,-(80)
উচ্চারণঃ আম ইয়াহছাবূনা আন্না-লা-নাছমা‘উ ছির রাহুম ওয়া নাজওয়া-হুম বালা-ওয়া রুছুলুনালাদাইহিম ইয়াকতুবূন।
অর্থ: তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন বিষয় ও গোপন পরামর্শ শুনি না? হঁ্যা, শুনি। আমার ফেরেশতাগণ তাদের নিকটে থেকে লিপিবদ্ধ করে।
قُلْ اِنْ كَانَ لِلرَّحْمٰنِ وَلَدٌ ﳓ فَاَنَا اَوَّلُ الْعٰبِدِیْنَ(81)
উচ্চারণঃ কুল ইন কা-না লিররাহমা-নি ওয়ালাদুন ফাআনা-আওওয়ালুল ‘আ-বিদীন।
অর্থ: বলুন, দয়াময় আল্লাহর কোন সন্তান থাকলে আমি সর্ব প্রথম তার এবাদত করব।
سُبْحٰنَ رَبِّ السَّمٰوٰتِ وَ -. الْاَرْضِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا یَصِفُوْنَ,-(82)
উচ্চারণঃ ছুবহা-না রাব্বিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিরাব্বিল ‘আরশি ‘আম্মা-ইয়াসিফূন।
অর্থ: তারা যা বর্ণনা করে!, তা থেকে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের পালনকর্তা!, আরশের পালনকর্তা পবিত্র।
فَذَرْهُمْ یَخُوْضُوْا وَ یَلْعَبُوْا -.حَتّٰى یُلٰقُوْا یَوْمَهُمُ الَّذِیْ یُوْعَدُوْنَ-.(83)
উচ্চারণঃ ফাযারহুম ইয়াখূদূওয়া ইয়াল‘আবূহাত্তা-ইউলা-কূইয়াওমা হুমুল্লাযী ইঊ‘আদূন।
অর্থ: অতএব!, তাদেরকে বাকচাতুরী ও ক্রীড়া-কৌতুক! করতে দিন সেই দিবসের সাক্ষাত পর্যন্ত!, যার ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হয়,।
وَ هُوَ الَّذِیْ فِی السَّمَآءِ -. اِلٰهٌ وَّ فِی الْاَرْضِ اِلٰهٌؕ-وَ هُوَ الْحَكِیْمُ الْعَلِیْمُ,-(84)
উচ্চারণঃ ওয়া হুওয়াল্লাযী ফিছ ছামাই ইলা-হুওঁ ওয়া ফিল আরদিইলা-হুওঁ ওয়া হুওয়াল হাকীমুল ‘আলীম।
অর্থ: তিনিই উপাস্য নভোমন্ডলে এবং তিনিই উপাস্য ভুমন্ডলে। তিনি প্রজ্ঞাময়!, সর্বজ্ঞ,
وَ تَبٰرَكَ الَّذِیْ لَهٗ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ-. وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَاۚ-وَ عِنْدَهٗ -عِلْمُ السَّاعَةِۚ-وَ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ,-(85)
উচ্চারণঃ ওয়া তাবা-রাকাল্লাযী লাহূমুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা- ওয়া ‘ইনদাহূ‘ইল মুছ ছা-‘আতি ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।
অর্থ: বরকতময় তিনিই!, নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু যার।. তাঁরই কাছে আছে কেয়ামতের জ্ঞান! এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।,
وَ لَا یَمْلِكُ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ -. مِنْ دُوْنِهِ الشَّفَاعَةَ اِلَّا مَنْ شَهِدَ بِالْحَقِّ وَ هُمْ یَعْلَمُوْنَ,-(86)
উচ্চারণঃ ওয়ালা-ইয়ামলিকুল্লাযীনা ইয়াদ‘ঊনা মিন দূনিহিশশাফা-‘আতা ইল্লা-মান শাহিদা বিলহাক্কি ওয়া হুম ইয়া‘লামূন
অর্থ:. তিনি ব্যতীত তারা যাদের পুজা করে!, তারা সুপারিশের অধিকারী হবে না!, তবে যারা সত্য স্বীকার করত ও বিশ্বাস করত।.
وَ لَىٕنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَهُمْ لَیَقُوْلُنَّ اللّٰهُ فَاَنّٰى یُؤْفَكُوْنَۙ(87)
উচ্চারণঃ ওয়া লায়িন ছাআলতাহুম মান খালাকাহুম লা ইয়াকূলুন্নাল্লা-হু ফাআন্না-ইউ’ফাকূন।
অর্থ: যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন!, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন!, তবে অবশ্যই তারা বলবে,.আল্লাহ, অতঃপর তারা কোথায় ফিরে যাচ্ছে ?
وَ قِیْلِهٖ یٰرَبِّ اِنَّ هٰۤؤُلَآءِ قَوْمٌ لَّا یُؤْمِنُوْنَۘ(88)
উচ্চারণঃ ওয়া কীলিহী ইয়া-রাব্বি ইন্না হাউলাই কাওমুল লা-ইউ’মিনূন।
অর্থ: রসূলের এই উক্তির কসম!, হে আমার পালনকর্তা!, এ সম্প্রদায় তো বীশ্বাস স্থাপন করে না।,
فَاصْفَحْ عَنْهُمْ وَ قُلْ سَلٰمٌؕ-فَسَوْفَ یَعْلَمُوْنَ۠(89)
উচ্চারণঃ ফাসফাহ‘আনহুম ওয়া কুল ছালা-মুন ফাছাওফা ইয়া‘লামূন।
অর্থ: অতএব!, আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন এবং বলুন!, ‘সালাম’।. তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।,