Quraan Shareef
79.সূরা আন-নযিআ’ত - Surah An-Nazi'at! মক্কায় অবতীর্ণ - Ayah 46
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম!
অর্থ: (শুরু করছি আল্লাহর নামে') যিনি পরম করুণাময়!, অতি দয়ালু
وَ النّٰزِعٰتِ غَرْقًاۙ(1,)
উচ্চারণঃ ওয়ান্না-ঝি‘আ-তি গারকা-।
অর্থ: শপথ সেই ফেরেশতাগণের!, যারা ডুব দিয়ে আত্মা উৎপাটন করে,,
وَّ النّٰشِطٰتِ نَشْطًاۙ(2,)
উচ্চারণঃ ওয়ান্না-শিতা-তি নাশতা-।
অর্থ: শপথ তাদের!, যারা আত্মার বাঁধন খুলে দেয় মৃদুভাবে;,
وَّ السّٰبِحٰتِ سَبْحًاۙ(3,)
উচ্চারণঃ ওয়াছছা-বিহা-তি ছাবহা-।
অর্থ: শপথ তাদের, যারা সন্তরণ করে দ্রুতগতিতে,
فَالسّٰبِقٰتِ سَبْقًاۙ(4,)
উচ্চারণঃ ফাছছা-বিকা-তি ছাবকা-।
অর্থ: শপথ তাদের., যারা দ্রুতগতিতে অগ্রসর! হয় এবং,
فَالْمُدَبِّرٰتِ اَمْرًاۘ(5,)
উচ্চারণঃ ফাল মুদাব্বিরা-তি আমরা-।
অর্থ: শপথ তাদের!, যারা সকল কর্মনির্বাহ করে., কেয়ামত অবশ্যই হবে।,,
یَوْمَ تَرْجُفُ الرَّاجِفَةُۙ(6,)
উচ্চারণঃ ইয়াওমা তারজুফুররা-জিফাহ।
অর্থ: যেদিন প্রকম্পিত করবে প্রকম্পিতকারী,
تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُؕ(7,)
উচ্চারণঃ তাতবা‘উহার রা-দিফাহ।
অর্থ: অতঃপর পশ্চাতে আসবে পশ্চাদগামী;
قُلُوْبٌ یَّوْمَىٕذٍ وَّاجِفَةٌۙ(8,)
উচ্চারণঃ কূলূবুইঁ ইয়াওমাইযিওঁ ওয়া-জিফাহ।
অর্থ: সেদিন অনেক হৃদয় ভীত-বিহবল হবে।
اَبْصَارُهَا خَاشِعَةٌۘ(9,)
উচ্চারণঃ আবসা-রুহা-খা-শি‘আহ।
অর্থ: তাদের দৃষ্টি নত হবে।
یَقُوْلُوْنَ ءَاِنَّا لَمَرْدُوْدُوْنَ فِی الْحَافِرَةِؕ(10,)
উচ্চারণঃ ইয়াকূ লূনা আ ইন্না-লামারদূদূনা ফিল হা-ফিরাহ।
অর্থ: তারা বলেঃ আমরা! কি উলটো পায়ে প্রত্যাবর্তিত হবই-,
উচ্চারণঃ আইযা-কুন্না-‘ইজা-মান নাখিরাহ।
অর্থ: গলিত অস্থি হয়ে যাওয়ার পরও?
قَالُوْا تِلْكَ اِذًا كَرَّةٌ خَاسِرَةٌۘ(12,)
উচ্চারণঃ কা-লূতিলকা ইযান কাররাতুন খা-ছিরাহ।
অর্থ: তবে তো এ প্রত্যাবর্তন সর্বনাশা হবে!
فَاِنَّمَا هِیَ زَجْرَةٌ وَّاحِدَةٌۙ(13,)
উচ্চারণঃ ফাইন্নামা-হিয়া ঝাজরাতুওঁ ওয়া-হিদাহ ।
অর্থ: অতএব, এটা তো কেবল এক মহা-নাদ,
فَاِذَا هُمْ بِالسَّاهِرَةِؕ(14,)
উচ্চারণঃ ফাইযা-হুম বিছছা-হিরাহ।
অর্থ: তখনই তারা ময়দানে আবির্ভূত হবে।
هَلْ اَتٰىكَ حَدِیْثُ مُوْسٰىۘ(15,)
উচ্চারণঃ হাল আতা-কা হাদীছুমূছা-।
অর্থ: মূসার বৃত্তান্ত আপনার কাছে পৌছেছে কি?
اِذْ نَادٰىهُ رَبُّهٗ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًىۚ(16,)
উচ্চারণঃ ইযনা-দা-হু রাব্বুহূবিলওয়া-দিল মুকাদ্দাছি তুওয়া-।
অর্থ: যখন তার পালনকর্তা তাকে! পবিত্র তুয়া উপ্যকায় আহবান করেছিলেন,,
اِذْهَبْ اِلٰى فِرْعَوْنَ اِنَّهٗ طَغٰى٘ۖ(17,)
উচ্চারণঃ ইযহাব ইলা-ফির‘আওনা ইন্নাহূতাগা-।
অর্থ: ফেরাউনের কাছে যাও!, নিশ্চয় সে সীমালংঘন করেছে।,
فَقُلْ هَلْ لَّكَ اِلٰۤى اَنْ تَزَكّٰىۙ(18,)
উচ্চারণঃ ফাকুল হাল্লাকা ইলাআন তাঝাক্কা-।
অর্থ: অতঃপর বলঃ তোমার পবিত্র হওয়ার! আগ্রহ আছে কি?,,
وَ اَهْدِیَكَ اِلٰى رَبِّكَ فَتَخْشٰىۚ(19,)
উচ্চারণঃ ওয়া আহদিয়াকা ইলা-রাব্বিকা ফাতাখশা-।
অর্থ: আমি তোমাকে তোমার পালনকর্তার দিকে পথ দেখাব!, যাতে তুমি তাকে ভয় কর।,,
فَاَرٰىهُ الْاٰیَةَ الْكُبْرٰى٘ۖ(20,)
উচ্চারণঃ ফাআরা-হুল আ-য়াতাল কুবরা-।
অর্থ: অতঃপর সে তাকে মহা-নিদর্শন দেখাল।
فَكَذَّبَ وَعَصٰى٘ۖ(21,)
উচ্চারণঃ ফাকাযযাবা ওয়া‘আসা-।
অর্থ: কিন্তু সে মিথ্যারোপ, করল এবং অমান্য করল।
ثُمَّ اَدْبَرَ یَسْعٰى٘ۖ(22,)
উচ্চারণঃ ছু ম্মা আদবারা ইয়াছ‘আ-।
অর্থ: অতঃপর সে প্রতিকার চেষ্টায় প্রস্থান করল।
فَحَشَرَ فَنَادٰى٘ۖ(23,)
উচ্চারণঃ ফাহাশারা ফানা-দা-।
অর্থ: সে সকলকে সমবেত করল, এবং সজোরে আহবান করল,
فَقَالَ اَنَا رَبُّكُمُ الْاَعْلٰى٘ۖ(24,)
উচ্চারণঃ ফাকা-লা আনা রাব্বুকুমুল আ‘লা-।
অর্থ: এবং বললঃ আমিই, তোমাদের সেরা পালনকর্তা।,
فَاَخَذَهُ اللّٰهُ نَكَالَ الْاٰخِرَةِ وَ الْاُوْلٰىؕ(25,)
উচ্চারণঃ ফাআখাযাহুল্লা-হু নাকা-লাল আ-খিরাতি ওয়াল ঊলা-।
অর্থ: অতঃপর আল্লাহ তাকে! পরকালের ও ইহকালের শাস্তি দিলেন।
اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَعِبْرَةً لِّمَنْ یَّخْشٰى(26,)
উচ্চারণঃ ইন্না ফী যা-লিকা লা‘ইবরাতাল লিমাইঁ ইয়াখশা-।
অর্থ: যে ভয় করে তার জন্যে অবশ্য!ই এতে শিক্ষা রয়েছে।
ﮒ ءَاَنْتُمْ اَشَدُّ خَلْقًا اَمِ السَّمَآءُؕ-بَنٰىهَاٙ(27,)
উচ্চারণঃ আ আনতুম আশাদ্দুখালকান আমিছ ছামাউ বানা-হা-।
অর্থ: তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন, না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন?
رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوّٰىهَاۙ(28,)
উচ্চারণঃ রাফা‘আ ছামকাহা-ফাছাওয়া-হা-।
অর্থ: তিনি একে উচ্চ করেছেন! ও সুবিন্যস্ত করেছেন।
وَ اَغْطَشَ لَیْلَهَا وَ اَخْرَ جَ ضُحٰىهَا۪(29,)
উচ্চারণঃ ওয়া আগতাশা লাইলাহা-ওয়া আখরাজা দুহা-হা-।
অর্থ: তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন! এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন।,
وَ الْاَرْضَ بَعْدَ ذٰلِكَ دَحٰىهَاؕ(30)
উচ্চারণঃ ওয়াল আর দা বা‘দা যা-লিকা দাহা-হা-।
অর্থ: পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।,
اَخْرَ جَ مِنْهَا مَآءَهَا وَ مَرْعٰىهَا۪(31,)
উচ্চারণঃ আখরাজা মিনহা-মাআহা-ওয়া মার‘আ-হা-।
অর্থ: তিনি এর মধ্য থেকে এর পানি! ও ঘাম নির্গত করেছেন,
وَ الْجِبَالَ اَرْسٰىهَاۙ(32,)
উচ্চারণঃ ওয়াল জিবা-লা আরছা-হা।
অর্থ: পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন,
مَتَاعًا لَّكُمْ وَ لِاَنْعَامِكُمْؕ(33,)
উচ্চারণঃ মাতা-‘আল্লাকুম ওয়ালি আন‘আ-মিকুম।
অর্থ:তোমাদের ও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপকারার্থে।
فَاِذَا جَآءَتِ الطَّآمَّةُ الْكُبْرٰى٘ۖ(34,)
উচ্চারণঃ ফাইযা-জাআত্তিত্তাম্মাতুল কুবরা-।
অর্থ: অতঃপর যখন মহাসংকট এসে যাবে।
یَوْمَ یَتَذَكَّرُ الْاِنْسَانُ مَا سَعٰىۙ(35,)
উচ্চারণঃ ইয়াওমা ইয়াতাযাক্কারুল ইনছা-নুমা-ছা‘আ-।
অর্থ: অর্থাৎ যেদিন মানুষ তার! কৃতকর্ম স্মরণ করবে
وَ بُرِّزَتِ الْجَحِیْمُ لِمَنْ یَّرٰى(36,)
উচ্চারণঃ ওয়া বুররিঝাতিল জাহীমুলিমাইঁ ইয়ারা-।
অর্থ: এবং দর্শকদের জন্যে জাহান্নাম! প্রকাশ করা হবে,
فَاَمَّا مَنْ طَغٰىۙ(37,)
উচ্চারণঃ ফাআম্মা-মান তাগা-।
অর্থ: তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে;
وَ اٰثَرَ الْحَیٰوةَ الدُّنْیَاۙ(38,)
উচ্চারণঃ ওয়া আ-ছারাল হায়া-তাদ্দুনইয়া-।
অর্থ: এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে,
فَاِنَّ الْجَحِیْمَ هِیَ الْمَاْوٰىؕ(39,)
উচ্চারণঃ ফাইন্নাল জাহীমা হিয়াল মা’ওয়া-।
অর্থ: তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
وَ اَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهٖ. وَ نَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوٰىۙ,(40,)
উচ্চারণঃ ওয়া আম্মা-মান খা-ফা মাকা!-মা রাব্বিহী ওয়া নাহান্নাফছা ‘আনিল হাওয়া-।,
অর্থ: পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান! হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে, নিবৃত্ত রেখেছে,.
فَاِنَّ الْجَنَّةَ هِیَ الْمَاْوٰىؕ(41,)
উচ্চারণঃ ফাইন্নাল জান্নাতা হিয়াল মা’ওয়া।
অর্থ: তার ঠিকানা হবে জান্নাত।
یَسْــٴَـلُوْنَكَ عَنِ السَّاعَةِ اَیَّانَ مُرْسٰىهَاؕ(42,)
উচ্চারণঃ ইয়াছা‘আলূনাকা ‘আনিছ ছা-‘আতি আইইয়া-না মুরছা-হা-।
অর্থ: তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামত কখন হবে?
فِیْمَ اَنْتَ مِنْ ذِكْرٰىهَاؕ(43,)
উচ্চারণঃ ফীমা আনতা মিন যিকরা-হা-।
অর্থ: এর বর্ণনার সাথে আপনার কি সম্পর্ক ?
اِلٰى رَبِّكَ مُنْتَهٰىهَاؕ(44,)
উচ্চারণঃ ইলা-রাব্বিকা মুনতাহা-হা-।
অর্থ: এর চরম জ্ঞান আপনার পালনকর্তার কাছে।
اِنَّمَاۤ اَنْتَ مُنْذِرُ مَنْ یَّخْشٰىهَاؕ(45,)
উচ্চারণঃ ইন্নামাআনতা মুনযিরু মাইঁ ইয়াখশা-হা-।
অর্থ: যে একে ভয় করে!, আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবেন।
كَاَنَّهُمْ یَوْمَ یَرَوْنَهَا لَمْ یَلْبَثُوْۤا اِلَّا عَشِیَّةً اَوْ ضُحٰىهَا۠(46,)
উচ্চারণঃ কাআন্নাহুম ইয়াওমা ইয়ারাওনাহা-লাম ইয়ালবাছূইল্লা-‘আশিইইয়াতান আও দুহা- হা।
অর্থ: যেদিন তারা একে দেখবে!, সেদিন মনে হবে যেন তারা দুনিয়াতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা! এক সকাল অবস্থান., করেছে।